webgeniusbd.com

ফ্রিল্যান্সিং এবং আউটসোর্সিং এর মধ্যে পার্থক্য

ফ্রিল্যান্সিং এবং আউটসোর্সিং এর মধ্যে পার্থক্য

আউটসোর্সিং (Outsourcing) মানে নিজের কাজ কোন একটা মাধ্যমে অন্যকে দিয়ে করিয়ে নেয়া। আর ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) বলতে, মুক্ত বা স্বাধীনভাবে কাজ করা বোঝায়। অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং বিষয়টি হচ্ছে, ইন্টারনেটের মাধ্যমে আপনি অন্যের কাজ করে দিবেন এবং কাজের বিনিময়ে নির্দিষ্ট অর্থ পাবেন। অনলাইনে কাজ করার জন্য অনেকগুলো মাধ্যম রয়েছে Freelancer, upwork, fiverr এর মধ্যে অন্যতম।

ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে যা যা প্রয়োজনঃ –
১. ভালো কনফিগারেশনের একটি ল্যাপটপ অথবা ডেক্সটপ কম্পিউটার ।
২. ভালো মানের ইন্টারনেট সংযোগ ।
৩. কাজ করার জন্য একটি সুন্দর পরিবেশ ।
৪. কাজ শিখা ও শিখার পর অনুশীলন করার জন্য প্রয়োজনীয় সময় ।

ফ্রিল্যান্সিং এর সুবিধা : –
1. সময়ের স্বাধীনতা ।
2. স্থানগত স্বাধীনতা।
3. নিজের পছন্দ অনুযায়ী কাজ করার স্বাধীনতা।
4. নিজের পছন্দ অনুযায়ী কাজের রেট বা মূল্য নির্ধারণের স্বাধীনতা ।
5. কোন নিদ্রিস্ট প্রতিষ্ঠানে কাজ না করে একই সাথে একাধিক প্রতিষ্ঠানে কাজ করার সুবিধা।
6. এককভাবে কাজ করার পাশাপাশি দলগত ভাবে কাজ করার সুবিধা।
7 . প্রজেক্টভিত্তিক কাজের মাধ্যমে অল্প সময়ে বেশি প্রজেক্টের কাজ সফলভাবে সম্পন্ন করে আয় বৃদ্ধি করতে পারেন ।
8 . একজন ফ্রিল্যান্সার তার যোগ্যতা ও দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে একইসাথে একাধিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে নিজেকে সফলভাবে জড়িত রাখতে সক্ষম হন ।

ফ্রিল্যান্সিং এর কিছু অসুবিধাঃ-
১. ফ্রিল্যান্সারদের মুলত দিনের বেশির ভাগ সময়ই কম্পিউটারের সামনে বসে থাকতে হয়, যার ফলে ফিজিক্যাল অ্যাকটিভিটি খুবই কম হয়ে থাকে। সুতরাং এর ফলে আমাদের উচ্চ রক্তচাপ, ওজন বৃদ্ধি পাওয়া, স্ট্রেস ইনজুরিতে পরার সম্ভাবনা, মুটিয়ে যাওয়া সহ নানা ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।

২. ফ্রিল্যান্সারদের দীর্ঘক্ষণ এক জায়গায় বসে থাকার ফলে কোমরে দীর্ঘ স্থায়ী বেদনার সৃষ্টি হতে পারে।
৩. দীর্ঘক্ষণ কম্পিউটারের স্ক্রিনের সামনে বসে থাকার ফলে চোখের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
৪. দিনের বেশির ভাগ সময় কম্পিউটারের সামনে বা একলা ঘরে থাকতে হয় বলে একাকীত্ববোধ সৃষ্টি হতে পারে, এবং এই একাকীত্ববোধ থেকে আবার বিষন্নতারও সৃষ্টি হতে পারে।
৫. বেশির ভাগ সময় বাসায় থাকার কারনে ফ্রিল্যান্সারদের রোদের সামনে খুব একটা যাওয়া হয় না, যার ফলে আমাদের শরীরে ভিটামিন ডি-র অভাব দেখা দিতে পারে।
৬. বেশির ভাগ সময় রাত জেগে কাজ করতে হয় বলে ঘুমের নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।

সমাধানঃ-
নিয়মিত ব্যায়াম করুণ যেমনঃ ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ, হাঁটাহাঁটি করা ইত্যাদি, কাজ করার পাশাপাশি মাঝে মাঝে বন্ধুদের সাথে কিছুক্ষন আড্ডা দিন, সপ্তাহে অন্তত একদিন ঘুরতে বের হন, একটানা কম্পিউটারের সামনে বসে না থেকে নিয়ম করে কিছুক্ষন পরপর হাঁটাচলা করুণ, কম্পিউটারের মনিটরের থেকে নিদ্রিস্ট দূরত্বে থাকুন এবং মনিটরের আলো কিছুটা কমিয়ে রাখতে পারেন এর ফলে চোখের সমস্যা কিছুটা হলেও রোধ করা সম্ভব হবে, মাঝে মাঝে রোদে হাঁটাচলা করতে পারেন, যার ফলে ভিটামিন ডি-র অভাব প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে। তাছাড়া খাওয়া-দাওয়া নিয়ম মেনে করুণ, তাহলেই এ সকল স্বাস্থ্যগত সমস্যা গুলো অনেকাংশে প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Goutam Roy

আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

Thanks! Your Payment Is Successful.

Please Check Your Mail Inbox And Follow This Instruction For Get Your Official License.

Open chat
WebgeniusBD
Hello 👋
Can we help you?